কক্সবাজার প্রতিনিধি :
রিআচরণ বিধি মানছেন না চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। অনেকেই রঙ্গিন ব্যানার টাঙ্গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাইক নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন রাত ১২ টায় পর্যন্ত। দিনের বেলায় বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালেও সন্ধ্যার পরে কোন খবর নেওয়া হয় না। যার ফলে আচরণ বিধির তোয়াক্কাই করছেন না প্রার্থীরা। এ ছাড়াও গ্রাম এলাকায় কোন তৎপরতাই নেই সংশ্লিষ্টদের।
আচারণ বিধি থাকলেও তা তোয়াক্কা করছেন না অনেক প্রার্থী। চেয়ারম্যান, মেয়র প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর ও মেম্বার প্রার্থীরা রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কিভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে কিংবা আদৌ করতে পারে কিনা তা না জানায় তেমন অভিযোগ জমা হচ্ছে না সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে। অধিকাংশ প্রার্থী বিভিন্ন সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে চলেছেন।
মহেশখালীর ধলঘাটার একজন মেম্বার পদপ্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই ইউনিয়নে কোন আইনের বাস্তবায়ন নেই। প্রচারণা চলছে রাতদিন ব্যাপী। এখানে দেখার কেউ নেই। কোন সময় আসেনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা। যার ফলে আরো উৎসাহিত হচ্ছেন প্রার্থীরা। এছাড়া অনেকেই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকায়।
মাতারবাড়ি ইউনিয়নেও চলছে আচারণ বিধি লংঘনের হিড়িক। কোন প্রার্থীই মানছেন না নির্বাচনী আইন। দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ হলেও তা আমলেই নিচ্ছেন না কেউ। ওই ইউনিয়নের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দীতামুলক নির্বাচন হওয়ায় আমার সমান তালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। একজন করলে আরেকজনের বসে থাকার সুযোগ নেই।
হোয়ানক ইউনিয়নের ভোটার মোহাম্মদ শওকত আলী জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আচারণ বিধি মেনে চলেন প্রার্থীরা। এরপর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আইনের তোয়াক্কাই করছেন না প্রার্থীরা। রাতের বেলায় প্রচারের প্রতিযোগিতায় নামছেন প্রার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হলেও তারা চলে যাওয়ার পর শুরু হয় আচরণ বিধি লংঘন। কয়েকজন প্রার্থী রঙ্গিন পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
চকরিয়ার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লকিয়ত উল্লাহ জানিয়েছেন, এখানে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রচারণা। আইন আছে বাস্তবায়ন নেই। যে যার যার মত করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
টেকনাফের হ্নীলার শাহীন শাহ জানিয়েছেন, প্রার্থীরা পোস্টার লাগানোর ক্ষেত্রে আচরণ বিধি মানছেন না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এবং বারান্দায় লাগানো হয়েছে পোস্টার। ভ্রাম্যমান আদালত সক্রিয় থাকলে অনেক প্রার্থীর শাস্তি হত।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অনেক প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন জানান, আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট সহকারি রিটার্নিং অফিসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
প্রকাশ:
২০১৬-০৩-১৭ ০৪:৫০:৩১
আপডেট:২০১৬-০৩-১৭ ০৪:৫৪:৩৫
- চকরিয়ায় প্যারাবন নিধনের মামলায় আসামি নিরীহ মানুষ
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে গেলেন পদত্যাগ করা বিতর্কিত অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে ৭০ ইউপি সদস্যের ‘গোপন বৈঠক’, আটক ১৯
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
পাঠকের মতামত: